চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে আগের প্রান্তিকের চেয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে মোট দেশজ উৎপাদন ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হারে কমেছে, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ কম।
মহামারীর আগে থেকেই জাপান নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে লড়ছিল।
এর মধ্যে সোমবারের প্রকাশিত তথ্য বিশ্বজুড়ে দেশগুলো যে মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটের মুখে রয়েছে তাই জোরালোভাবে মনে করিয়ে দিচ্ছে।
হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে অর্থনীতির আকার যতটুকু কমেছে, তা ১৯৮০ সালে তুলনামূলক পরিসংখ্যান চালুর পর থেকে সর্বোচ্চ সংকোচন। সেসঙ্গে এটা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও কিছুটা বেশি।
জাপানের অর্থনীতিতে অর্ধেকের বেশি অবদান রাখা অভ্যন্তরীণ ভোগ খাতে মারাত্মক হ্রাসই এই মন্দা পরিস্থিতির অন্যতম প্রধান কারণ। তাছাড়া মহামারীতে বিশ্ববাণিজ্য বিপর্যস্ত হওয়ায় রপ্তানি খাতেও ধস নেমেছে।
হালনাগাদ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, পর পর তিন প্রান্তিকে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি জাপানে ১৯৫৫ সালের পর আর দেখা যায়নি।
টাইফুন হাগিবিসের বিপর্যয়ের সঙ্গে বিক্রয় কর ১০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রভাব মোকাবেলায় জেরবার জাপানের অর্থনীতির উপর আরও মন্দা পরিস্থিতি বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।
সর্বোচ্চ মাত্রায় সংকোচনের পরও অনেক বিশ্লেষকের আশা, সামনের মাসগুলোতে জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়াবে।
গত মে মাসে জাপান জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিলেও সম্প্রতি সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে ব্যবসায় ও পরিবারের ব্যয় আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে উদ্বেগ রয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি প্রতিবেশী দেশ চীনেও আশা দেখা যাচ্ছে। দেশটির অর্থনীতি এপ্রিল-জুন সময়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।