পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান

পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনায় জি-টু-জি ভিত্তিতে কোরিয়ার একটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2020, 12:21 PM
Updated : 12 August 2020, 12:21 PM

বুধবার অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবীর সব দেশে বাসা থেকে বের হলেই কোনো না কোনোভাবে সরকারকে টোল দিতে হয়। এতে রাস্তা ব্রিজগুলোর মেইনটেইন্যান্স সহজ হয়। কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন (কেইসি) এ কাজ পেয়েছে সার্বিক বিবেচনায়।”

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে এবং জনস্বার্থে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনকে এ কাজ দেওয়া হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী।  

২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ৪২টি পিয়ারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দোতলা এই সেতু কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়নাধীন ‘মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীতীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণে বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। 

অর্থমন্ত্রী জানান, ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণের কাজ এবং ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং এ প্রকল্পের মাধ্যমে হবে। 

এছাড়া সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ‘বাংলাদেশের ৩০টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন প্রকল্প’র পরামর্শক সেবার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “এ প্রকল্পে সেবা ক্রয়ের জন্য দেব কনসাল্ট, বিইটিএস কনসালটিং সার্ভিস এবং মাস বাংলা কনসাল্টিংকে ৩৮ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

এছাড়া সভায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে চুক্তিবদ্ধ ৫ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় লটে প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ব্যাগিং চার্জসহ এফওটি মার্কিন ডলার ২২৬ হিসেবে মোট ৬৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৭ কোটি ৫৯ লাখ ৬১ হাজার  টাকা ব্যয়ে আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।