এসব প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের যে মেয়াদ অবশিষ্ট রয়েছে, তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারবে। এতদিন তা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ বাড়ানোর সুযোগ ছিল।
মহামারীর কারণে যে উদ্যোক্তারা ঋণ পরিশোধে সমস্যায় পড়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের ফলে তারা কিস্তি শোধ করতে বাড়তি সময় পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত ঋণ পুনর্গঠনের মাধ্যমে মেয়াদ বাড়াতে পারে। ধরা যাক, কোনো গ্রাহক ৬ বছরের জন্য ঋণ নিয়েছেন। নিয়মিতভাবে তিনি দুই বছর কিস্তিও শোধ করেছেন। এরপর তিনি মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার অবশিষ্ট চার বছর মেয়াদের ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে পারত। অর্থাৎ ওই গ্রাহক তখন চার বছরের জায়গায় পাঁচ বছর সময় পেতেন ওই ঋণ পরিশোধের জন্য।
নতুন নিয়মে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার অবশিষ্ট মেয়াদের ৫০ শতাংশ সময় বাড়াতে পারবে। অর্থাৎ ওই গ্রাহক তার অবশিষ্ট মেয়াদের অর্ধেকক বা ২ বছর বাড়তি সময় পাবেন। সব মিলিয়ে ঋণ শোধের জন্য তার হাতে থাকবে ছয় বছর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদ্যমান কোভিড-১৯ বাস্তবতায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন গ্রাহকের আর্থিক সঙ্গতি বিশ্লেষণ করে নিজেদের বিবেচনায় পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সে লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
“এখন থেকে ঋণ বা লিজ সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধির সময়সীমা অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারবে। এ ছাড়া অন্যান্য সব নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।”