সোমবার রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে।
“এতে দেশ ও পরিবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখছে প্রবাসীদের রেমিটেন্স।”
প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, “চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বাড়তি রেমিটেন্স আনার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। সামনের দিনে রেমিটেন্স বৈধ পথে আনতে যত কৌশল অবলম্বন করতে হয় সেটা আমরা নেব।
“প্রবাসীদের রয়েছে দেশের প্রতি অকৃতিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ। তাদের টাকা প্রেরণে যত বাধা রয়েছে, সেগুলো দূর করা হবে।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিহাসের সর্ব্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করছে।
যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে সোমবার সকালে মুস্তফা কামাল মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজকর্ম শুরু করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাসের পর ২ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন তিনি।