শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকরা এই ঋণের অনুমোদন দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চার কোটি ৫০ লাখ পরিবারের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলগত শস্য মজুদ ক্ষমতা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টন বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্টের’ বাড়তি এই অর্থায়ন করছে বিশ্ব ব্যাংক।
জলাবায়ু সৃষ্ট দুর্যোগ বা চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর মতো সঙ্কটময় পরিস্থিতির মতো কঠিন সময়ে খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল।
এর আওতায় আটটি জেলায় চাল ও গম সংরক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগে আটটি আধুনিক মানের স্টিলের সাইলো কমপ্লেক্স নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ, মধুপুর ও ময়মনসিংহে চলমান নির্মাণকাজের বাইরে বাড়তি এই অর্থ দিয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে চালের সাইলো এবং চট্টগ্রাম ও মহেশ্বরপাশায় গমের সাইলো নির্মাণ করা হবে।
এই প্রকল্প সাইলো পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ করে নারীসহ সবার জন্য নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে থাকেন, যেখানে জলবায়ু প্রতিনিয়ত তাদের জীবনযাত্রা, কল্যাণ ও খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করছে।
“দক্ষ বিতরণ ব্যবস্থাসহ এই আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর বা কোভিড-১৯ মহামারীর মতো চলমান কোনো সঙ্কটের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।”
প্রকল্পটির আওতায় এরই মধ্যে বায়ু ও পানি নিরোধক ফুড কন্টেইনার তৈরি করে দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এলাকাগুলোর ৫ লাখ দরিদ্র কৃষক ও নারীপ্রধান নাজুক পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।