মূল্যস্ফীতি বেড়েছে গত অর্থবছরে

সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে, যা সরকারের লক্ষ্যের চেয়ে বেশি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2020, 05:16 PM
Updated : 6 July 2020, 05:16 PM

৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ গড় মূল্যস্ফীতি নিয়ে আগের অর্থবছর শেষ করার পর গত অর্থবছর তা ৫ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের।

সোমবার একনেক পরবর্তী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “কিছুটা বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিই ছিল গত অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি।”

২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুন ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি নিয়েই শেষ হয়েছে। এ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০২ শতাংশ, যা আগের বছরের জুনে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল।

মে মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ মে মাসের তুলনায়ও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

এবার জুন মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে খাদ্য উপ-খাতে সাধাণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ; খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “মে মাসের তুলনায় জুনে গড় মূল্যস্ফীতি ০.৬৭ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে হঠাৎ বন্যা। তাতে ফসল, বিশেষ করে সবজির ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এমনিতেই আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে অতিবৃষ্টির কারণে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে যায়।

“আমরা আশা করছি বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত রাস্তা-ঘাট সংস্কার হবে, তখন পণ্য সরবরাহও স্বাভাবিক হবে। তাতে মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে।”

পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, গত জুন মাসে গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ০২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং খাদ্য বর্হ্ভিূত উপ-খাতে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।

আর শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। এরমধ্যে খাদ্য উপ-খাতের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ; খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ।

বিবিএস মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলামও ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।