বেতনের বাকি ২৫ শতাংশ দিতে হবে আলাদা টাকা অ্যাকাউন্টে। বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করে এই অর্থ খরচ করতে পারবেন ওই বিদেশি কর্মীরা।
বিদেশি মুদ্রা হিসাব তদারকির সুবিধার্থে মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী (এডি) ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন থেকে বাংলাদেশে কর্মরত অন্য কোনো দেশের কর্মীর মাসিক বেতনের ৭৫ শতাংশ সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা- এফসি অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। এফসি অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ বাইরের রেমিটেন্স হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে এ সংক্রান্ত বিদেশি মুদ্রা নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। এই অ্যাকাউন্টের বিপরীতে অনুমোদিত সীমার আলোকে ব্যাংকগুলো ডেবিট বা প্রিপেইড কার্ড ইস্যু করতে পারবে।
আর এই নির্দেশনা জারির মাধ্যমে ইতোপূর্বে জারি করা এ সংক্রান্ত দুটি সার্কুলার বাতিল করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি কোম্পানির শাখা, লিঁয়াজো অফিস, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) বা হাই টেক পার্কে অবস্থিত কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা মোট বেতনের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ দেশে পাঠাতে পারেন। আর বেতনের অন্তত ২৫ শতাংশ বাংলাদেশে খরচ করতে হয়।
“তবে বর্তমানে কোম্পানিগুলো বিদেশি কর্মীদের বেতনের পুরো অর্থ তার নামে খোলা বিদেশি মুদ্রা হিসাবে (এফসি) জমা দেয়। এতে করে অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি অর্থ বাইরে পাঠালে বা খরচ করলে তদারকি করা ব্যাংকগুলোর জন্য জটিল হয়ে পড়ে।”
এ রকম প্রেক্ষাপটে নতুন এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।