লকডাউনের দুই মাসে এডিপির ১২% বাস্তবায়ন

করোনাভাইরাস মহামারীতে এপ্রিল-মে দুই মাস সাধারণ ছুটির মধ্যে নানা উন্নয়ন প্রকল্প থমকে গেলেও ওই সময়ে এডিপির ১২ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে হিসাব দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

জাফর আহমেদ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2020, 01:09 PM
Updated : 23 June 2020, 01:09 PM

সাধারণ ছুটির এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও ২৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী গত রোববার একনেক সভা পরবর্তী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান।

ওই সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত ৫৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছিল প্রায় ৬৮ শতাংশ।

এর আগে মার্চ পর্যন্ত সংশোধিত এডিপির ৪৫ শতাংশ বা ৯০ হাজার ৭০৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হয়েছিল বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছিলেন।

মে মাস শেষে এডিপির ৫৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ বা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানানো হয় রোববার।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ১ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন করছে সরকার।

সাধারণ ছুটির এই সময়েও কীভাবে এই পরিমাণ সরকারি অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হল- জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসময়ে কাজ একদম বন্ধও ছিল না। কিছু কিছু প্রকল্পের কাজ চলছিল।

“আর ঠিকাদারদের কাছে তাদের পাওনা অর্থ পরিশোধ করলেই আমরা ওই অর্থ বাস্তবায়ন হিসেবে ধরে থাকি। সাধারণ ছুটির সময় প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকলেও আগের পাওনা পরিশোধ করায় এই অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

চলতি অর্থবছরের মাত্র মাত্র ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল। সবসময়ই অর্থবছরের শেষ দিকে এসে অর্থ ব্যয় বাড়ে, যাতে কাজের মান খারাপ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থনীতির বিশ্লেষক আহসান এইচ মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অর্থবছরের শেষের দিকে এসে এভাবে ঠিকাদারদের অর্থ পরিশোধ এটা আমাদের পুরনো চরিত্র।”

তিনি বলেন, “অর্থবছরের শুরু থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় না। তাই শুরুর দিকে বাস্তবায়নে গতি পায় না।

“শেষের দিকে এসে তাড়াহুড়া করে বাস্তবায়ন বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। তখন প্রকল্পের কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয় না।”

তিনি আগামী অর্থবছর থেকে দক্ষতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন।