হাওরবাসীর জন্য ৫৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প

টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে হাওর অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দিতে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2020, 12:20 PM
Updated : 21 June 2020, 12:21 PM

‘হাওর অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি ৫৫৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

গণভবনে থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবরা শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে বৈঠকে অংশ নেন।

করোনাভাইরাস মহামারীকালে এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান আসেন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে।

তিনি বলেন, “হাওর অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পটি ওই এলাকার মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কাভারেজ বৃদ্ধি করার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বৈঠকে চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

মন্ত্রী জানান, এ প্রকল্পটির মাধ্যমে হাওর অঞ্চলে ২২ হাজার ৬৪২টি মোডিফাইড, সাব মার্সিবল নলকূপ স্থাপন করা হবে। এছাড়া ৫ হাজার ৬৬১টি গভীর নলকূপ স্থাপন, ৪ হাজার ১২৬টি উন্নত ল্যাট্রিন স্থাপন করা হবে এবং ৪৫৮টি অফসেট টুইন পিট ল্যাট্রিন স্থাপন করা হবে।

মান্নান বলেন, দেশের হাওর অঞ্চলের সাত জেলা- সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোট ৩৭৩টি হাওর অঞ্চলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে গৃহীত এ প্রকল্পটি আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে।

এ প্রকল্পটিসহ প্রায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ের ১০টি প্রকল্প রোববারের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

অন্যান্য প্রকল্প

>> ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প। ব্যয় ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

>> ‘মনু নদীর ভাঙ্গন হতে মৌলভীবাজার জেলা সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা’ প্রকল্প। ব্যয় হবে ৯৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

>> ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’। ব্যয় ৬ হাজার ৪৭৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

>> ‘বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ (পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা) প্রকল্প। ব্যয় ১৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

>> ‘জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্প। ব্যয় ২১০ কোটি টাকা।

>> ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তায় উন্নতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) প্রকল্প’। ব্যয় ২৫৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

>> ‘টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ (হরিদাসপুর)-মোল্লাহাট (ঘোনাপাড়া) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। ব্যয় ৬১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

>> ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প। ব্যয় ৭৮ কোটি ১২ লাখ টাকা।

>> ‘বিএএফও বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ, যশোর (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।