বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতিতেও মহামারীর হানা

করোনাভাইরাস মহামারীর প্রকোপে চলতি অর্থবছরের বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতিতে ধস নেমেছে।

জাফর আহমেদ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2020, 02:15 PM
Updated : 16 June 2020, 02:15 PM

বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাস পর্যন্ত দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫৪ শতাংশ কমে গেছে।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের মে পর্যন্ত বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় হয়েছে ৪৩৫ কোটি ৭৯ লাখ ডলার ঋণের।  

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে প্রতিশ্রুতি আদায় হয়েছিল ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ঋণের প্রতিশ্রুতি ৩৭৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলার কম পাওয়া গেছে।

চলতি অর্থবছরে দাতাদের কাছ থেকে ৬০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বৈদেশিক বাজেট (ফাবা) অনুবিভাগের উপসচিব সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনা মহামারীর এই সময়ে সকল ধরনের অফিস লকডাউন ও সাধারণ ছুটির কারণে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে অনেক চুক্তি আমরা করতে পারিনি।”

অর্থবছর শেষ হতে আর মাত্র ১৫ দিন বাকি থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদী তিনি।

আশরাফুজ্জামান বলেন, জুন মাসের শেষের দিকে জাইকা, বিশ্ব ব্যাংক এবং এশিয়ান অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)সহ আরও বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

“এসব চুক্তি হয়ে গেলে আমরা অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।”

ইআরডির অতিরিক্ত সচিব পিয়ার মোহাম্মদও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, “মূলত করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি ঠিক, কিন্তু জুন শেষের দিকে চিত্র পাল্টে যাবে বলে আমি আশাবাদী।”

এদিকে ইআরডির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মে মাস পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি আদায় কম হলেও দাতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার অর্থছাড় ২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার বেড়েছে।

গত মে মাস পর্যন্ত দাতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতির বিপরীতে অর্থছাড় হয়েছে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

১১ মাসের এই ছাড় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ছাড় হয়েছিল ৫২১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার।

চলতি পুরো অর্থবছরে প্রায় ৭২০ কোটি ডলার ছাড় করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

ইআরডি‘র হালানাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে পর্যন্ত দাতাদের পুঞ্জিভুত পাওনার ১৬১ কোটি ৭৯ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দাতাদের কাছে ১৪৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার পরিশোধ করেছিল।