সেই সঙ্গে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ নিয়েও হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে টিআইবির এক বিবৃতিতে।
বাজেটের পরদিন শুক্রবার ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ”করোনাভাইরাস মহামারীতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সচল করা, রাজস্ব আয় ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির নামে কালোটাকা সাদা করা ও অর্থপাচারকে সুকৌশলে বৈধতা দেওয়ার অভূতপূর্ব দুর্নীতি সহায়ক সব পদক্ষেপ ঘোষণা উদ্বেগজনক।”
১০ শতাংশ কর দিয়ে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, দালান নির্মাণ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে অপ্রদর্শিত আয়ের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ আগেই ছিল। ২০২০-২১ সালের বাজেটে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এই সুযোগকে ‘অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থি’ বর্ণনা করে তা বাতিলে দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতার সম্পূর্ণ বিপরীত ও অমর্যাদাকর পদক্ষেপ, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।“
বাজেটে ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার ঠেকাতে ৫০ শতাংশ কর আরোপের বিধান আয়কর অধ্যাদেশে যুক্ত করার প্রস্তাবকে ‘অপরিণামদর্শী’ আখ্যায়িত করেন তিনি।
এ বাজেটকে ‘দুর্নীতি সহায়ক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “…এতে অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণের বদলে বরং এর মহোৎসবের সুযোগ তৈরি হবে। এই প্রস্তাবসমূহ দুর্নীতি-সহায়ক, স্ববিরোধী, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান-পরিপন্থি।”
টিআইবি বলছে, “কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতের নাজুক অবস্থা বিবেচনায় খাতটিতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ বাড়ানোর অঙ্গীকারসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসনমুখী কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি কার্যকর পথনকশা তুলে ধরা হবে এমনটা প্রত্যাশা থাকলেও তা উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।”
জরুরি তহবিল হিসেবে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের বাইরে স্বাস্থ্য খাতের বাজেট বরাদ্দকে ‘একেবারেই গতানুগতিক’ হিসেবে বর্ণনা করেন ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, “এ খাতের দুর্নীতির মূলোৎপাটনে কোনো পরিকল্পনাই নেওয়া হয়নি, যেটি হতাশাজনক ও স্বাস্থ্যসেবার প্রতি উদাসীনতার ও সময়ের অনুপযোগী প্রাধান্যের প্রতিফলন।”
আরও পড়ুন-