যুব ও ক্রীড়া খাতে বাজেট বেড়েছে ১.৫ শতাংশ

নতুন অর্থবছরের বাজেটে যুব ও ক্রীড়া খাতের জন্য ১ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১.৫ শতাংশ বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2020, 10:00 PM
Updated : 11 June 2020, 10:00 PM

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৬ কোটি করা হয়।

ফাইল ছবি

নতুন অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকা এবং পরিচালন খাতে ১২৪৫ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রশিক্ষিত তরুণ ও বেকার যুবাদের গ্রামীণ এলাকায় ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করবে সরকার।

কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট উৎপাদন ও সেবা, ক্ষুদ্র ব্যবসা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ইত্যাদি খাতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্য্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মাধ্যমে ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হবে, যে ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী জানান, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সরকার এ লক্ষ্যে ৫০০ কোটি টাকা করে মূলধন দেবে, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো সুনিদির্ষ্ট প্রকল্পের আওতায় উপযুক্ত উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করবে।

“এসবের পাশাপাশি শিল্প খাতে কর্ম সৃজনের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশের আধুনিকায়ন, শ্রমিকের সুরক্ষা জোরদার করা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ১৫ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, ইতোমধ্যে ৪ লাখ ২৮ হাজার জন প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, যার অধীনে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১২৮টি উপজেলায় ২ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৭ জনকে প্রশিক্ষণ এবং ২ লাখ ২৭ হাজার ৪০২ জনের অস্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে।

দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমকে সমন্বিত আকারে পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) গঠিত হয়েছে। 

এ প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিধিমালা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নীতিমালা এবং জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণীত হয়েছে এবং এর জনবল কাঠামো অনুমোদিত হয়েছে।

কর্মক্ষম জনগণের দক্ষতা উন্নয়ন পদ্ধতি উদ্ভাবন, কারিকুলাম প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণের মান বজায় রাখার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।