অগ্রাধিকারমূলক খাত হলেও কোভিড-১৯ মহামারীর এই সময়ে আগামী অর্থ বছর এই মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।
বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এই বরাদ্দ ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা কম। চলতি বছরে সংশোধিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ছিল ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
একদিন আগেই বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, আগামী অর্থবছরে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা জোরদার করে গ্রাহকের নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ৩০ হাজার ৭৩৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তার মন্ত্রণালয়।
তবে প্রত্যাশার চেয়ে কম বরাদ্দ পেয়েছেন তিনি।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১৬ হাজার ৮৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। দুই হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন।
ভবিষ্যতে আরও ১৯ হাজার ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও বলেন তিনি।
বিদ্যুৎখাতের মেগাপ্রকল্পগুলোর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন,বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল প্রজেক্ট, মাতারবাড়ি ১২শ মেগাওয়াট আল্ট্রসুপার ক্রিটিক্যাল কোল প্রজেক্ট, এবং পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। যৌথ বিনিয়োগে মহেশখালীতে ১০ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সহায়তায় রূপপুরে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
জ্বালানি
দেশে গ্যাসের উৎপাদন প্রায় দৈনিক দুই হাজার ৫২২ মিলিয়ন ঘনফুট। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে বাপেক্স ১০৮টি কূপ খনন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসাবে ইতোমধ্যে ২৯টি কূপ খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে আবাসিক গ্রাহকদের মাঝে দুই লাখ ৬০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। গ্যাস অপচয় রোধে এই কাজ অব্যাহত রাখা হবে। দেশীয় প্রকৃতিক গ্যাস দিয়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো যাবে না বিধায় এলএনজি আমদানি পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। মহেশখালীতে দুটি এক হাজার এমএমসিএফডির দুটি এফএসআরইউ স্থাপন করা হয়েছে। মাতারবাড়িতে এক হাজার এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ডবেইজ এলএনজি টার্মিনাল নর্মানের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।