বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কাটি টাকার যে বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন, তাতে তিনি এই ঘোষণা দেন।
অর্থাৎ বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের মতো নতুন বাজেটেও প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ হয়ে মোট ১০২ টাকা পাবেন।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রবাস আয় প্রেরণে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, রেমিটেন্স প্রেরণে বর্ধিত ব্যয় লাঘব করা এবং বৈধ পথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করা।
“এই পদক্ষেপের কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরের এক মাস বাকি থাকতেই রেকর্ড ১৬ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার প্রবাস আয় অর্জিত হয়েছে; যা দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে বিশেষ অবদান রাখছে।”
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা কোটি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স। দেশের জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
এবার বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারী দেখা দিলে রেমিটেন্স কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু তা ঘটেনি।
মহামারীর অনিশ্চয়তা না কাটায় রেমিটেন্সের গতি যেন ধরে রাখা যায়, সেজন্যই প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে চাইছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রধান প্রধান শ্রমবাজারে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের কারণে আগামী অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হতে পারে।
“এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী অর্থবছরেও রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে পণোদনা দেওয়া হবে।”
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিতের পাশাপাশি নতুন শ্রম বাজার খুঁজতে সরকার সচেষ্ট বলে জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী জানন, বর্তমানে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে ১ কোটি ২০ লাখের অধিক অভিবাসী কর্মী কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে গত ১০ বছরেই কর্মসংস্থান হয়েছে ৬৬ লক্ষ ৩৩ হাজারের।
গত ১০ বছরে ৭ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি নারীকর্মী বিভিন্ন পেশায় চাকরি নিয়ে বিদেশ গেছেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।