বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ : করোনায় অনিশ্চিত জীবন-জীবিকা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাজেট প্রত্যাশা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এই দাবি জানানো হয়।
সংলাপে আলোচকরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
যৌথভাবে এ সংলাপ আয়োজন করে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন, অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন ডিসিএফ, এনসিডিডব্লিউ, সীতাকুন্ড ফেডারেশন, টার্নিং পয়েন্ট ও ডব্লিউডিডিএফ।
বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাহিদার তুলনায় ‘খুবই কম’ বরাদ্দ দেওয়া হয় অনুযোগ করে সংলাপের মূল প্রবন্ধে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা বলেন, “বাজেট প্রণয়নে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা, গৃহহীণদের জন্য গৃহ নির্মাণের মতো উদ্যোগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।”
অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ৯ থেকে ১২ মাসের খাদ্য রেশনের ব্যবস্থা, বিশেষ বীমা ও কর্মরত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পেনশন স্কিম চালু, করোনাভাইরাস সঙ্কটে চাকরি হারানো ও বেকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বেকার ভাতা চালু এবং মধ্য মেয়াদে আত্ম-কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি বৃদ্ধি, গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ‘কেয়ারগিভার’দের মাসিক ভাতার ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা ১৫০০ টাকায় উন্নীত, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের জন্য বাজেট বরাদ্দ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয় মূল প্রবন্ধে।
সংলাপে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ রাখা ও তাদের প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে বরাদ্দের পাশাপাশি তা যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি জানান আলোচকরা।
সেন্টার ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট সিডিডি’র নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান খান বলেন, প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের ৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিৎ।
বরাদ্দকৃত বাজেট যথাযথভাবে বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়ার প্রস্তাব করেন সাইটসেভারস’র কান্ট্রি ডিরেক্টর অমরিতা রেজিনা রোজারিও।
এই সুপারিশগুলো সংসদে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংলাপের প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আরমা দত্ত বলেন, “নারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাহিদাকে আরও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।”
তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগ পর্যবেক্ষণের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”