করোনাভাইরাস সঙ্কটে দেশে প্রতি ৬ যুবকের ১ জন কর্মহীন: আইএলও

করোনাভাইরাস সঙ্কটে বাংলাদেশের প্রতি ছয়জন যুবকের মধ্যে একজন কর্মহীন হয়ে পড়েছে বলে তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2020, 02:57 PM
Updated : 28 May 2020, 02:57 PM

‘আইএলও মনিটর : কোভিড-১৯ অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক’ এর চতুর্থ সংস্করণে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চারভাগের একভাগের বেশি (২৭.৩৯ শতাংশ) যুবক বেকার রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বেকারত্ব বাড়ছে। মহামারীর প্রভাবে যুবকদের প্রতি ছয় জনে একজন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

বিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি যুবক এই মহামারীতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

যুবকদের মধ্যে নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বলে আইএলওর মূল্যায়ন।

প্রতবেদনে বলা হয়, মহামারীতে যুবকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তিনভাবে- একদিকে তারা কাজ হারাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য চাকরিতে প্রবেশ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটছে।

শ্রমবাজারের উপর কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব নিয়ে আইএলও এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আইএলও’র মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, কোভিড-১৯ জনিত অর্থনৈতিক সংকট অন্য যে কোনো বয়সের কর্মজীবীদের চেয়ে যুবকদের বিশেষত নারীদের কঠিনভাবে আঘাত হানছে।

“আমরা যদি তরুণদের অবস্থার উন্নতির জন্য কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করি তাহলে এ ভাইরাসের রেশ আরও অন্তত এক দশক বয়ে বেড়াতে হবে।”

বাংলাদেশে দায়িত্বরত আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুয়োমো পুটিয়ানা এ প্রসঙ্গে বলেন, মহামারী বাংলাদেশে ঝুঁকিতে থাকা তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য সত্যিকার বিপদ বয়ে এনেছে। চাকরির সুযোগ বিপুলহারে হ্রাস পেয়েছে। তরুণদের জন্য ইতিবাচক ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণে যথেষ্ট বিনিয়োগ প্রয়োজন।

“দুঃখজনকভাবে নিম্ন মজুরি ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ভুগতে থাকা যুব নারীকর্মীরাই মহামারীতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

প্রতিবেদনে আইএলও নিরাপদে কর্মক্ষেত্রগুলো চালু করার জন্য বিশদ ও অব্যাহতভাবে কভিড-১৯ পরীক্ষা ও কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে। এই টেস্টিং ও ট্রেসিং ব্যবস্থা সাময়িক হলেও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করছে আইএলও।