১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫ বছরে সবচেয়ে কম

কোভিড-১৯ মহামারী কমিয়ে দিয়েছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2020, 03:04 PM
Updated : 19 May 2020, 03:04 PM

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপির ৪৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

গত পাঁচ বছরে অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে কখনোই এডিপি বাস্তবায়নের হার এত কম ছিল না। আর সঙ্কট এখনও রয়ে গেছে বলে এই হার বাড়াটাও দুরূহ।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নতুন অর্থবছরের এডিপি অনুমোদনের পর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছরে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৯৮ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। ১০ মাসের এ ব্যয় মোট বরাদ্দের মাত্র ৪৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।”

গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ব্যয় হয়েছিল এডিপিতে বরাদ্দের ৫৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। টাকার অঙ্কে তা ছিল ৯৭ হাজার ৩০ কোটি টাকা।

এর আগের তিন অর্থবছরে প্রথম ১০ মাসে যথাক্রমে সংশোধিত এডিপির ৫২ দশমিক ৪২ শতাংশ, ৫৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এবং ৫০ দশমিক ১৭ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছিল।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মান্নান বলেন, “এ বছর ভয়ংকর রকমের একটা গ্যাপ আপনারা দেখলেন। গত মার্চের পর থেকে কোনো কাজই হচ্ছে না। কাজ না হওয়া মানেই টাকাও আমরা ছাড়ছি না। অতএব কিছু টাকা ছেড়েছিলাম কাজতো হল না, পড়ে আছে।”

মহামারীকালে এ বছর এডিপির কতটুকু বাস্তবায়িত হবে, সে বিষয়েও কোনো ধারণা দিতে পারেননি পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এটা একটা বিশেষ বছর। আপনারা দয়া করে বিচার করবেন। ভ্রান্তিমূলক কিছু থাকলেও তা আমরা কমানোর চেষ্টা করছি। অন্যান্য বছর ৯৫/৯৬/৯৭/৯৮ হলেও  এবার সেটা হবে না। সেটা বলতে পারি। এই অর্থবছরে কত হবে, তা আমরা বলতে পারব না। হিসাব-নিকাশ সালাতামামি করে দেখি, তারপরে বলব।”

মান্নান বলেন, “আমরা তাড়াহুড়া করে খরচ করি না। আমরা রুলস রেগুলেশন ও অর্থনীতির অবস্থা বুঝে খরচ করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের উন্নয়ন কাজে গুণগত মানের সঙ্গে আপস নয়।”