ধান কিনতে নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ

যেসব কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে, লটারির মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করে সেই তালিকা সরকারি অফিসে টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2020, 11:41 AM
Updated : 18 May 2020, 11:41 AM

সোমবার খুলনা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রী লটারি করার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের নামের তালিকা ইউনিয়ন অফিসের তথ্যকেন্দ্র এবং সরকারি খাদ্য গুদামের অফিসে দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেন।

এছাড়া অপেক্ষমাণ কৃষকের নামের তালিকা তৈরি রাখতেও  মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

খুলনা বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদ করার ওপর জোর দেন সাধন চন্দ্র।

“কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক কতজনকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং প্রকৃত গরিব, দুঃস্থ কতজনকে নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেই তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।”

তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে, তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

“লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্য থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোনো কৃষক তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট বিক্রি করে তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে এবং সেসব মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

“কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী।”

ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, “কোনোভাবেই পুরান চাল নেওয়া যাবে না। বস্তার গায়ে অবশ্যই স্টেনসিল ব্যবহার করতে হবে।”

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছাড়াও কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এবং খুলনা বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।