তিনি সোমবার এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতাসুগু আসাকাওয়ার সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় এই সহায়তা চান বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সহায়তা হিসেবে অতিরিক্ত ৫০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছেন।
এরপর আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য চেয়েছেন মোট ১২৫ কোটি ডলার। এরমধ্যে শুধু বাজেট সহায়তা হিসেবে চেয়েছেন ১০০ কোটি ডলার।
করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলায় সামনের কাতারের কর্মী যেমন: চিকিৎসা, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেবা প্রদানকারীদের জন্য ১০ কোটি ডলার, চাকরি হারানোদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আরও ১৫ কোটি ডলারের সহায়তা চান অর্থমন্ত্রী।
আলোচনাকালে এডিবির সঙ্গে চুক্তিকৃত ঋণের অছাড়কৃত অর্থের কমিটমেন্ট চার্জ হ্রাসের অনুরোধও করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, এডিবি প্রেসিডেন্ট এই অনুরোধ বিবেচনায় নিয়েছেন এবং এ বিষয়ে যথা সময়ে সরকারকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলা ও বাজেট সহায়তা হিসেবে এডিবি ইতোমধ্যে বাংলদেশের জন্য ৬০ কোটি ২৩ লাখ ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
এডিবি গত সপ্তাহে করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাতে দুই হাজার কোটি ডলার আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করে।
বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির প্রায় ৮৭০ কোটি ডলারের সহায়তায় ৬৩টি প্রকল্প চলমান, পাইপলাইনে রয়েছে আরও প্রায় ৯৯৪ কোটি ডলারের সহায়তার ৮১টি প্রকল্প।