বিআইপির সাধারণ সম্পাদক আদিল মুহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, “নিম্ন আয়ের পরিবারদের সরাসরি সহযোগিতা করবার জন্য ৮,০০০ কোটি টাকার সামাজিক সুরক্ষা অনুদান ঘোষণা করা একান্ত জরুরি।
“আসন্ন রমজানকে বিবেচনায় নিয়ে আগামী দুই মাসের জন্য এই পরিবারসমূহের জন্য পরিবার প্রতি মাসিক ৩০০০ টাকা অনুদান প্রদানের জন্য আট হাজার টাকা বরাদ্দের দরকার হবে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২০ ভাগ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করলেও করোনার কারণে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত অনেক লোক দারিদ্র্যপীড়িত হয়ে পড়বেন। এই প্রেক্ষিতে দেশের ৪০ ভাগ লোক তথা ১কোটি ৩০ লক্ষ পরিবার এর জন্য দুর্যোগকালীন বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।”
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ‘স্বাস্থ্য দুরে্যাগ’ হিসেবে তা মোকাবেলা করতে বেশ কটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে বিআইপি।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ‘দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় গ্রুপ তৈরি করা, অনুদান ও ত্রাণ সহযোগিতা বিতরণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ, করোনাভাইরাস মোকাবেলা কর্মসূচি প্রণয়ন এবং জাতীয় দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন তৈরি করা, নগর দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের ব্যাপ্তি বাড়ানো, অধিক দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলে চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান, হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান, ডেঙ্গু মোকাবেলার উদ্যোগ চলমান রাখা, কৃষি ও গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,সরকারি অনুদান তহবিলে রমজানের যাকাত সংগ্রহের উদ্যোগ,সরকারি সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি রোধ।