করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলায় তামাকে কর বাড়ানোর সুপারিশ

নভেল করোনাভাইরাস মহামারী দেশের অর্থনীতিতে যে সঙ্কট তৈরি করবে, তা মোকাবেলায় অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ে আগামী বাজেটে তামাক পণ্যের কর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে তামাকবিরোধী মিডিয়া জোট অ্যান্টি টোবাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2020, 06:23 PM
Updated : 29 March 2020, 06:23 PM

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে আগামী অর্থ বছরের জন্য এ সংক্রান্ত একটি বাজেট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে রোববার আত্মার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি প্রবর্তন, সিগারেটে ২টি মূল্যস্তরসহ তামাক পণ্যে কর ও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ছয় লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু যেমন রোধ করা যাবে, পাশাপাশি ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে, যা গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের রাজস্ব আয়ের তিন ভাগের প্রায় এক ভাগ।”

আত্মার এই বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সিগারেটের ৪টি মূল্য স্তর রয়েছে। এরমধ্যে ৩৭ টাকা এবং ৬৩ টাকার মূল্যস্তরকে একত্রিত করে নিম্নস্তরে এবং ৯৩ ও ১২৩ টাকার মূল্যস্তরকে একত্রিত করে প্রিমিয়াম স্তরে নিয়ে আসা যায়।

এছাড়া নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ৬৫ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করার পাশাপাশি দুইটি স্তরেই ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্কর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে যথাক্রমে ১০ টাকা এবং ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার জন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

আর বর্তমানে সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে তা যেনো বহাল থাকে সে ব্যাপারেও প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

তামাক কর ও মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব ইমেইল’র মাধ্যমে রোববার পাঠানো হয় রাজস্ব বোর্ডে।

প্রতিবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়াম্যানের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে এই প্রস্তাব দেওয়া হলেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার এই পদ্ধতি বলে আত্মা জানায়।

সংগঠনটি বলছে, তামাক-কর ও মূল্য বৃদ্ধিসহ সকল প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় ২০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।