বেতন দিতে ১ ও ২ এপ্রিল বিইএফটিএন চালু থাকবে

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ১ ও ২ এপ্রিল বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক -বিইএফটিএন প্লাটফর্মটি চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2020, 04:48 PM
Updated : 25 March 2020, 04:48 PM

এছাড়া মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির দিনগুলোতে ব্যাংকগুলোতে পে-অর্ডার করা যাবে।

বুধবার এ বিষয়ে দুটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিইএফটিএন প্লাটফর্ম চালু রাখা বিষয়ক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ রোধে সরকার ২৬ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটিকালীন সময়ে সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা (নগদ উত্তোলন ও জমা) চালু রাখতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এ অবস্থায় পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের পরিশোধ ব্যবস্থাগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কিত তিনটি নিদেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছে-

>> এনপিএসবি প্লাটফর্মের কার্যক্রম ছুটিকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক চালু থাকবে এবং সংশ্লিষ্ট লেনদেনের সেটেলমেন্ট ছুটি পরবর্তী কার্যদিবসে সম্পন্ন করা হবে।

>> বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক প্রসেসিং সিস্টেম (বিএসিপিএস) ও রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের (আরটিজিএস) সব কার্যক্রম ছুটিকালীন সময়ে বন্ধ থাকবে।

এবং

>> সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি প্রদানসহ সকল ধরনের লেনদেন সম্পন্নের জন্য বিইএফটিএন প্লাটফর্মটি শুধুমাত্র আগামী ১ ও ২ এপ্রিল চালু থাকবে।

বিএফটিএনের মাধ্যমে যে কোন গ্রাহক তার নিজের ব্যাংক হিসাব থেকে অন্য যে কোনও ব্যাংক গ্রাহকের হিসাবে টাকা পাঠাতে পারেন। এছাড়া যে কোনও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতন-ভাতা পরিশোধ, ডিভিডেন্ট-ইন্টারেস্ট প্রভৃতি পাঠানো, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বিল, ঋণের কিস্তি এবং বীমার প্রিমিয়াম জমা দেওয়া যায়।

এনপিএসবি চালু থাকলে সহজে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে যে কোনও ব্যাংকের এটিএম, পস ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যায়।

আর এনপিএসবি চালু থাকলে যে কোনও ব্যাংক হিসাব থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবে মুহূর্তেই টাকা পাঠানো যায়। এছাড়া এর মাধ্যমে পণ্য কিংবা অন্য কোন সেবার মূল্য পরিশোধ করা যায়।

পে অর্ডার করা যাবে

পে অর্ডার সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার এক সার্কুলারে মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

“বিভিন্ন গ্রাহকের প্রকৃত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখায় নগদ জমা ও উত্তোলনের পাশাপাশি ডিডি/পে অর্ডার ইস্যু এবং একই ব্যাংকের একই শাখাস্থিত বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তরের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।”

করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার পাঁচ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও এই সময়ে সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

ছুটির দিনগুলোতে ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপর ১২টা পর্যন্ত লেনদেন হবে। ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।