ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায়ে চাপ নয়: এমআরএ

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায়ে চাপ প্রয়োগ না করতে নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমআরএ)

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2020, 12:06 PM
Updated : 24 March 2020, 12:06 PM

একই সঙ্গে গত জানুয়ারি থেকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসের মধ্যে কেউ কিস্তি না দিতে পারলে তাকে খেলাপী হিসেবে বিবেচনাও করা যাবে না।

রোববার এমআরএর এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান এমআরএ থেকে সনদ নিয়ে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করছে তাদের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে এমআরএ বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণ করে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমআরএ নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা জানাতে চেয়েছি যারা কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন তারা তো করবেনই। আর যারা পরিশোধ করতে পারবেন না, তাদের কাছ থেকে যেন জোর করে কিস্তি আদায় করা না হয়।”

এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এমআরএ থেকে সনদ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রাহকেরা ঋণ নিয়েছেন প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।