একইসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্ষন্ত ব্যাংকগুলোর চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার আলাদা দুটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এ নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে পর্ষদের সভা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠান’ শীর্ষক সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব এবং বিশেষত এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিবেচনায় ব্যাংকের পর্ষদ এবং পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় ব্যাংকের পরিচালকদের সশরীরে উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ।
“এ প্রেক্ষাপটে অত্র বিভাগ হতে জারিকৃত অন্যান্য নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় এখন থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সভা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তথা ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠানের পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।”
এক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পরিচালক যথানিয়মে তাঁর সম্মানী প্রাপ্য হবেন।
“তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভাসমূহের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।”
প্রশিক্ষণ বন্ধ
অপর এক সার্কুলারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণস্থলে অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা বিবেচনায় ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে দুটি নির্দেশনা অনুসরণের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো-
>> করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত দশ জনের বেশি কর্মকর্তা/কর্মচারীর অংশগ্রহণে চলমান সকল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করে উক্ত কর্মকর্তাগণকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। রোগ প্রশমিত হওয়ার পর অসপূর্ণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে।
>> দশ জন বা তার চেয়ে কম সংখ্যক কর্মকর্তার অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনায় আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে ন্যূনতম দূরত্ব সংক্রান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।