করোনাভাইরাস: গ্যাস-বিদ্যুতের বিল পরে দিলেও চলবে

দেশে নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে গ্রাহকদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল তিন থেকে চার মাস দেরিতে দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2020, 02:55 PM
Updated : 22 March 2020, 02:55 PM

রোববার দুই বিভাগের আলাদা চিঠিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এই  সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল বিলম্ব ফি ছাড়াই পরে জমা দেওয়া যাবে।

আর গ্যাসের আবাসিক গ্রাহকরা কোনো ধরনের বিলম্ব ফি ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিল জুন মাসের সুবিধাজনক সময়ে পরিশোধ করতে পারবেন।

বিশ্বে মহামারী রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে দুজন রোগীর মৃত্যু এবং ২৭ জন আক্রান্ত হওয়ার পর জনসমাগম এড়াতে বারণ করা হচ্ছে।

সংক্রমণ এড়াতে মাদারীপুরের একটি উপজেলায় সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উদ্বিগ্ন মানুষ সংক্রমণ এড়াতে ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনেক গ্রাহক জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মার্চ ও এপ্রিল মাসে অনেক গ্রাহকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে পারবেন না মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।

“উপযুক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে সারচার্জ বা বিলম্ব মাশুল ব্যতিরেকে পরিশোধের নিমিত্তে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বার্ক) কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হল।”

জ্বালানি বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, “আবাসিক গ্যাস বিল নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধের জন্য বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় একই সময় উপস্থিত হতে দেখা যায়। বিল পরিশোধের নিমিত্তে এরূপ উপস্থিতি করোনাভাইরাস সংক্রমণকে ত্বরান্বিত করে।”