শনিবার নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ঘোষণা দেন তিনি।
জ্যাক মা লিখেছেন, “এগিয়ে যাও এশিয়া! আমরা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, লাওস, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে ১৮ লাখ মাস্ক, ২ লাখ ১০ হাজার টেস্ট কিট, ৩৬ হাজার প্রটেক্টিভ স্যুট এবং ভেন্টিলেটর ও থার্মোমিটার অনুদান দেব। দ্রুত পৌঁছে দেওয়া খুব সহজ নয়, তবে আমরা তা করব।”
এর আগে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরীক্ষার পাঁচ লাখ কিট এবং ১০ লাখ মাস্ক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন জ্যাক মা। তার আগে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জন্য ২০ লাখ মাস্ক অনুদান দেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
আড়াই মাস আগে চীনে প্রথম দেখা দেওয়া নভেল করোনাভাইরাস দেড়শ’র বেশি দেশে ছড়িয়ে মহামারী রূপ নেওয়ায় বিশ্বজুড়েই এখন মাস্কসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশেও সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। এই ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা দেবেন যারা সেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্টের (পিপিই) বন্দোবস্ত করা হয়নি।
এই পরিস্থিতি ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের প্রথম কাজ হবে রোগটি যেন বাংলাদেশে না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা করা। সেটা সরকার করছে। তবে মানুষ সেটা মানছে না, মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।
“আর যদি রোগটি ছড়িয়ে যায় তাহলে কীভাবে সেটা কমাতে হবে সেজন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা কিছুটা পিছিয়ে থাকব সেটা স্বাভাবিক। এখানে সরকার একলা কিছু করতে পারবে না, জনগণকে দায়িত্ব নিতে হবে।”
এই দুর্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক খলিকুজ্জামান।