শতাংশ হিসাবে আমদানি কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ।
বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতিতে প্রতিবছরই আমদানি বাড়ছিল। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছিল।
কিন্তু চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের শুরু থেকেই পণ্য আমদানিতে ‘মন্থরগতি’ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে এখন এতে বড় ‘ধাক্কা’ লেগেছে।শুধু চীন নয়; অন্যান্য দেশ থেকেও পণ্য আমদানি হচ্ছে না বললেই চলে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার আমদানির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) তিন হাজার ৪৫৮ কোটি ৪০ লাখ (৩৪.৫৮ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৬১৯ কোটি ১৫ লাখ (৩৬.১৯ বিলিয়ন) ডলঅর।
এ হিসাবে এই সাত মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
তিনি একে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ আখ্যায়িত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এমনিতেই বিনিয়োগের অবস্থা খারাপ।বেশ কিছুদিন ধরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কম।তার উপর ব্যাংক থেকে সরকার প্রচুর ঋণ নেওয়ায় এই প্রবাহে আরও টান পড়েছে।
“এখন আমদানি কমায় বিনিয়োগে আরও বড় ‘ধাক্কা’ খাবো আমরা। রপ্তানিতে তো ‘ধাক্কা’ লেগেই আছে। দুই ‘ধাক্কায়’ আমাদের অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়বে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ‘তছনছ’ হয়ে যাচ্ছে। তার প্রভাব প্রতি মুহূর্তে বাংলাদেশেও পড়ছে “
বাংলাদেশের প্রধান আমদানিকারক দেশ এখন চীন। গত অর্থবছরে ১৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে দেশটি থেকে।
ডিসেম্বরের শেষে চীনে করোনাভাইরাস দেখা দেওয়ার পর থেকেই দেশটি থেকে পণ্য আমদানি বেন্ধ রয়েছে বলা যায়।
জানুয়ারিতে আগে এলসি খোলা কিছু পণ্য আমদানি হলেও ফেব্রুয়ারিতে কোন পণ্য আমদানি হয়নি।
সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারিতে আমদানির তথ্য পাওয়া গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে জানান আহসান মনসুর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেটে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে শিল্প স্থাপনের ন্য প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানি কমেছে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য আমদানি কমেছে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো অবশ্য আট মাসের রপ্তানি আয়ের তথ্য দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।