বৃহস্পতিবার দুপুরে পাট মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ ঘোষণা দেন।
পাট নিয়ে গবেষণা, পাটের উৎপাদন, বহুমুখী পণ্যের উৎপাদন, ব্যবহার ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছর ১১ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
পাটবীজ পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে গবেষণা করে সেরা গবেষক, বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক পুরস্কার পাবেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম।
সেরা পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষী হচ্ছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার চর গোলাপনগরের মো. শাহানুর আলম সান্টু। আর সেরা পাট উৎদানকারী চাষী হলেন ফরিদপুর সদরপুর আটরশি গ্রামের মো. আরিফ শেখ।
পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পাচ্ছে আলীজান জুট মিলস লিমিটেড, পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারক হিসেবে সেরা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নওয়াপাড়া জুট মিলস লিমিটেড।
এছাড়া পাটের সুতা রপ্তানিকারক হিসেবে সেরা পাটকল হচ্ছে আযীযুত মিলস লিমিটেড, পাটের সুতা উৎপাদনকারী সেরা প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পাচ্ছে করিম জুট স্পিনার্স লিমিটেড।
বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল হচ্ছে জনতা জুট মিলস লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে চতুর্থবারের মতো আগামী ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
‘সোনালি আশেঁর সোনার দেশ, মুজিববর্ষে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২০’-এর উদ্বোধনী আয়োজন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান উপস্থিত থাকবেন।
৬ থেকে ১০ মার্চ পাঁচ দিন বহুমুখী পাট মেলা আয়োজনের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তিনি বলেন, গত পাট উৎপাদন মৌসুমে দেশে ৭৪ দশমিক ৪৬ লাখ বেল কাঁচাপাট উৎপাদন হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পাট ও পাটজাত পণ্যে ৬১৬ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে।
এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি বলে জানান পাটমন্ত্রী।
আরও খবর -