প্রতিশ্রুত আরও ১৭ কোটি ডলার ছাড় করছে এডিবি

পুঁজিবাজার উন্নয়নে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুত ১৭ কোটি ডলারের ঋণ ছাড় করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে এডিবির পরিচালনা পর্ষদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2020, 03:15 PM
Updated : 15 Feb 2020, 03:15 PM

পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির তৃতীয় ধাপ বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় হবে বলে শনিবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

২০১৫ সালের নভেম্বর বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উন্নয়ন প্রকল্পে ২৫ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। প্রথম ধাপে ৮ কোটি ডলার ঋণ দেয় সংস্থাটি। সেই ধারাবাহিকতায় ঋণ অনুমোদন হলো।

এডিবির আর্থিকখাত বিশেষজ্ঞ তাকুয়া হোশিনো করেন, এডিবি বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আইনী সংস্কার, নিয়ন্ত্রণকারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাজার কাঠামোতে উন্নতি হবে।

মূলত ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতনের পর বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনাসহ ২০১২ সাল থেকে এডিবি সরকারের সঙ্গে পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারকে টেকসই এ ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

পুঁজিবাজারে ১০ বছরমেয়াদী জাতীয় মাস্টার প্লান তৈরি করা, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনি সংস্কার, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচুয়ালাইজেশন (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণ), কর্পোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক রিপোর্ট ও অডিটগুলোতে আরো স্বচ্ছতা আনাসহ বিমা শিল্পের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি রয়েছে।

এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি কাজুহিকো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ৬ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে বাংলাদেশ। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করছে এডিবি।

“২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছাতে চায় সরকার। এজন্য এডিবি সহায়তা অব্যহত রাখবে।”

২৫ কোটি ডলার মধ্যে ১০ কোটি ডলার নমনীয় ঋণ হিসাবে দেবে এডিবি। ২ শতাংশ সুদহারে এই ঋণ ৫ বছর রেয়াতকালসহ ২৫ বছরের মধ্যে সরকারকে পরিশোধ করতে হবে।

বাকি ১৫ কোটি ডলার অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্স (ওসিআর) ঋণ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য লন্ডনের ব্যাংক রেটের (লাইবর) সঙ্গে দশমিক ১৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। তিনবছর রেয়াতি কালসহ ১৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

এই চুক্তি ছাড়াও এডিবির সঙ্গে একটি প্রকল্প চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য মো. কুদ্দুস স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।