তিনি বলেছেন, গত তিন-চার বছরে কয়েক দফায় সৌদি সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাবশালী নেতৃত্ব সৌদি নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
“এরপর থেকে সৌদি আরব-বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন উঁচ্চতায় উঠেছে। এর মধ্যে সৌদি ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ থেকে কোম্পানিটির প্রতিনিধি এবারের জেইসি বৈঠকে এসেছে।”
বুধবার ঢাকায় দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) সভায় যোগ দিতে আসা সৌদি প্রতিনিধি দলের প্রধান সৌদি উপমন্ত্রী মাহির আবদুল রহমান আল গাছিম অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থমন্ত্রীর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি উপমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের সময় দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সৌদি ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। তখন থেকেই সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানি আরামকোসহ অনেক ব্যবসায়ী গ্রুপ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরামকো বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
তবে তারা কী অংকের বিনিয়োগ করতে চায়, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি উপমন্ত্রী।
শুধু আরামকো নয়, অ্যাকওয়া পাওয়ার ও বাওয়ানি গ্রুপসহ বেশ কিছু কোম্পানির প্রতিনিধি ঢাকায় এসেছেন বলে জানান তিনি।
এ সময় অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, “সৌদি আরবের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটি এখন বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দুই দেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব তৈরি হয়েছে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বন্ধুত্বের ঊর্ধ্বে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর অংশীদারিত্বকে’ ধরে রাখার দিকে নজর দিচ্ছে। বাংলাদেশ তার বন্ধু দেশ ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অব্যাহত ও বর্ধিত সমর্থন প্রত্যাশা করছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা বন্ধু দেশ সৌদি আরবের কাছ থেকে একদিকে যেমন বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করি, একই সঙ্গে দেশটিতে আমাদের দক্ষ কর্মী নিয়োগের গতি বাড়াবে বলে আশা করছি।
“কারণ বাংলাদেশ এখন উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করছে। বিশেষ করে আইটি খাতে এখন আমরা অনেক দক্ষ জনবল তৈরি করছি। এমনকি আমাদের তৈরি রোবট কোরিয়ায় রপ্তানি করছে।”
এ সময় তিনি বাংলাদেশের জনবলের দক্ষতার আরও উদাহরণ দিতে গিয়ে মালয়েশিয়ায় দক্ষ ব্যবস্থাপনার ৩৭ শতাংশ বাংলাদেশি বলে উল্লেখ করেন।
এরপর বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে সৌদি উপমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রাখেন অর্থমন্ত্রী।