এসডিজি অর্জনে ৮ প্রতিষ্ঠানকে ২২ কোটি টাকা দিল ট্রান্সফর্ম

সামাজিক উন্নয়নে অভিনব সামাজিক ব্যবসাকে উদ্বুদ্ধ করতে ৮টি নতুন সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে ট্রান্সফর্ম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2020, 03:43 PM
Updated : 12 Feb 2020, 03:43 PM

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ট্রান্সফর্ম বাংলাদেশ এন্টারপ্রেনার শো-কেসিং ইভেন্ট’ এ অনুদান প্রদান করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইউনিলিভারের ডিএফআইডি ও আরন্সটন অ্যান্ড ইয়াংয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশে জীয়ন, মায়া, ভূমিজ, হ্যাপিট্যাপ, সবার জন্য পানি, সুইপ, ড্রিংকওয়েল এবং ফোলিয়া ওয়াটার- এই আটটি সংগঠনকে শর্ত অনুযায়ী নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর চাহিদা পূরণে টেকসই ও উদ্ভাবনী কাজের জন্য ট্রান্সফর্মের এই অনুদান পেয়েছে।

‘জীয়ন’ হচ্ছে একটি মোবাইল অ্যাপ। প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ‘জীয়ন‘একটি অ্যাপ তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে ফামের্সিগুলো তাদের গ্রাহককে সহজে ওষুধ পৌঁছে দিতে পারবে।

গ্রামীণ পর্যায়ে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে ‘মায়া’। নিবন্ধিত চিকিৎসক এবং সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করতে মোবাইলে ম্যাসেজ সমাধান তৈরি করেছে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটি।

 ‘ভূমিজ’ প্রতিষ্ঠানটি দেশে গণ-শৌচাগার নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।

‘হ্যাপিট্যাপ’ একটি বহনযোগ্য হ্যান্ডওয়াশ ডিভাইস, যা স্বল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে হাত ধোঁয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবে। উৎপাদন, বিতরণ এবং বিপণনে সহায়তা করবে ট্রান্সফর্ম ও মানুষের হাত ধোঁয়ার অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য ডিভাইসটিকে ব্যবহার করবে ‘হ্যাটিট্যাপ’।

 ‘সবার জন্য পানি’ একটি সামাজিক সংগঠন যারা ঢাকার ভাষানটেক বস্তিতে স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করছে।

‘সুইপ’ একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এ সেবাটি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে পানি ও স্যানিটেশন সেবা প্রদানের জন্য কাজ করছে। চট্টগ্রামে অল্প আয়ের মানুষদের মাঝে সেবার চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিপণন ও বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে সুইপ। 

‘ড্রিংকওয়েল’ ব্যক্তি উদ্যোগে নিরাপদ পানি সরবরাহের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।

‘ফোলিয়া ওয়াটার’ বিশ্বে প্রথম টাকার পরিবর্তে পয়সা দিয়ে ফিল্টার পানি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ফলে খুব কম খরচে স্বল্প আয়ের মানুষের ফিল্টারের পানি পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মোকাম্মেল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেদার লেলে।

ইউনিলিভারের টেকসই জীবনমান পরিকল্পনাকে আরো এগিয়ে নিতেই যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট  এবং  আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং যৌথভাবে ’ট্রান্সফর্ম’ নামের এই উদ্যোগটি শুরু করেছে। এর লক্ষ্য, দারিদ্র্য দূর করতে তা বাজারকেন্দ্রিক সমাধানের লক্ষ্যে অভিনব সামাজিক ব্যবসাকে সহযোগিতা করা।   

আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বকে আরও বেশি অর্ন্তভূক্তিমূলক, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং বৈষম্যহীন অর্থনীতির দিকে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছে ট্রান্সফর্ম।