বুধবার সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে দুইদিনের এই সভা শুরু হয়।
সভায় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে আছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ।
আর সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাহির আব্দুল রহমান গাছিম।
সৌদি আরব প্রতিনিধি দলে দেশটির সরকারি ২১টি এজেন্সির ২৯ জন এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা রয়েছেন।
সভার উদ্বোধনী পর্বে ইআরডি সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
“বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে ১৯০৯ ডলার হয়েছে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ অবকঠামো, বিদ্যুৎ, কৃষি, স্বাস্থ্য, পর্যটন, বন্দর এবং শিল্প খাতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ হচ্ছে।
“বর্তমান সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য গ্রহণ করেছে।”
ইআরডি সচিব বলেন, “বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবানের মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার এখন কমে ২০ শতাংশের কাছাকাছি চলে এসেছে। টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এই দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনের টার্গেট নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের এই লক্ষ্য পূরণে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র সৌদি আরবের সহযোগিতা চাই। সৌদি আরবের বেসরকারি খাত থেকে আমরা পেট্রোলিয়াম, কৃষি, মৎস, বন্দর, আইসিটি, পর্যটন, বিদ্যুৎ, এবং শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ আশা করছি।”
“এছাড়াও ১৬ লাখ বাংলাদেশি কর্মী সৌদি আরবের উন্নয়নে অবদান রাখছে। এই শ্রমশক্তি সৌদি আরবের মোট শ্রমশক্তির ১৩ শতাংশ। এই শ্রম শক্তি একইসঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারছে বলে আমরা মনে করি।”
প্রতিনিধি দলে থাকা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।