তীব্র বিরোধিতায় স্ব-শাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ কোষাগারে নিতে বিল পাস

স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইনানশিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে নিতে আইন করার প্রস্তাব বিরোধী দলের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে পাস হয়েছে সংসদে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2020, 01:36 PM
Updated : 5 Feb 2020, 01:39 PM

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী সংসদ সদস্যদের তীব্র বাদানুবাদের মধ্যে বুধবার বিলটি পাস হওয়ার পর ওয়াকআউট করে প্রতিবাদ জানায় বিএনপি।

ওয়াকআউট না করলেও বিলটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী যখন ভোটে দেন, তখন প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা ‘না’ ভোট দেন।

বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হওয়ার আগে জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো উত্থাপনের সময় এর প্রবল বিরোধিতা করেন বিরোধী সংসদ সদস্যরা।

‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে বিলটি নিয়ে নিজেদের দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাবগুলো প্রত্যাহার করে নেন তারা। সংশোধনী উত্থাপনকারী সদস্যদের সবার একযোগে প্রস্তাব প্রত্যাহারের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি।

সরকারের ব্যাংক ঋণের ভার অনেক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের স্বশাসিত সংস্থাগুলোর স্থিতিতে থাকা ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা উন্নয়নের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা থেকে এই আইনটি করার উদ্যোগ নেয় সরকার।

রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এই অর্থ আনতে ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইনানশিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন’ গত বছরের সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আসে আইনসভায়।

গত ১৫ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।

কমিটি থেকে ফেরার পর বুধবার বিলটি পাসের জন্য যখন সংসদে প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তখনই পড়ে বিরোধিতায়।

বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রীকে ‘ব্যবসায়ী’ বলেন। এতে ক্ষোভ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজেকে ‘বিশ্বের সেরা অর্থমন্ত্রী’ বলে দাবি করেন।

জাতীয় সংসদে চলছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন। বৃহস্পতিবারে ছবি।

বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা চালাতে যে খরচ হয় এবং নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বছরে যে অর্থ লাগে, তা তাদের নিজস্ব তহবিলে জমা রাখা হবে।

এছাড়া আপৎকালীন ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিচালন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ অর্থ এসব সংস্থা সংরক্ষণ করতে পারবে। ওই সংস্থার কর্মীদের পেনশন বা প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থও তারা সংরক্ষণ করবে।

বাকি অর্থ কোষাগারে আনার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সংস্থাসমূহের তহবিলে রক্ষিত উদ্বৃত্ত অর্থের মালিকানা প্রকৃতপক্ষে জনগণের এবং সেই কারণে উত্ত অর্থ জনগণের কল্যাণ সাধনে ব্যবহার করা সমীচীন।”

বিলের উপর আলোচনায় বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, আর্থিক খাতে লুটপাটের কারণে এখন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর অর্থের দিকে চোখ পড়েছে সরকারের।

তিনি বলেন, “সরকার রাজস্ব থেকে কেন উন্নয়ন করতে পারে না? শেয়ার বাজার লুট, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খারাপ, প্রকল্পের নামে সীমাহীন লুটপাট হচ্ছে।

“টাকা ব্যাংকে আছে। সেই টাকা নিয়ে নিলে শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ব্যাংকের হাতে টাকা থাকবে না। সরকারের এখন চোখ গেছে এসব প্রতিষ্ঠানের দিকে।”

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে রুমিন বলেন, “অর্থমন্ত্রী অসাধারণ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সাধারণ অবস্থা থেকে ব্যবসায়ী হয়েছেন। উনি অর্থনীতি বোঝেন না, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তাহলে সমস্যটা কোথায়?  

“উনার সদিচ্ছার অভাব। এত মেধাবী তিনি কিন্তু শেয়ার বাজার, খেলাপি ঋণ নিয়ে কিছু করলেন না। কেন মেধাবী অর্থমন্ত্রী এদিকে নজর দিচ্ছেন না। উনি ধনী সমাজের জন্য অর্থমন্ত্রী হন নাই। কেন খেটে খাওয়া মানুষের দিকে উনার নজর নেই?”

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, “ক’দিন পরে আমার একাউন্টের টাকা নিয়ে নেবে কি না, সেই ভয়ে আছি। টাকা এখন ব্যাংক থেকে নিয়ে বাসায় নিয়ে যাবে কি না, ভাবছি।

“আমি এটুকু বলতে চাচ্ছি, অর্থমন্ত্রী শিক্ষিত লোক। চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। উনার সময়ে পুঁজিবাজারে ১০ হাজার ইনডেক্স উঠেছিল। যখন উনি পরিকল্পনামন্ত্রী। তখনই তিনি বলেছিলেন, ৪ হাজার হওয়ার কথা, কীভাবে ১০ হাজার হল? উনি জানতেন না? ব্যাংকের মালিক সমিতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী বসেন। কীভাবে হয় এটা?

“নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠের ক্ষমতা দেখাবেন না। পৃথিবীতে অনেক দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে,” সরকারের উদ্দেশে বলেন তিনি।

বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, “এটা একটা কালো আইন। আইন করে সমস্ত টাকা তুলে নেবে। উন্নয়নের জন্য অর্থ দরকার আছে। কিন্তু সামর্থ্য কতটুকু? এই টাকাগুলো ব্যাংকে জমা আছে। টাকা নেওয়া হলে ব্যাংকগুলো মারাত্মক বিশৃঙ্খলায় পড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলোর স্পৃহা ধ্বংস হয়ে যাবে।

“ক্ষমতার অতিরিক্ত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ নেই। শেয়ার বাজার ধ্বংস করে ফেলেছি। আমি এই বিলটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাব।”

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “বিলটি পাস হলে অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে যাবে। এই টাকার মালিক জনগণ। পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার করেন। ব্যাংকিং খাত ভেঙে পড়েছে, সেদিকে নজর দিন।”

তিনি বলেন, “টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে এর জন্য ব্যাংক দায়ী। সালমান এফ রহমান এখানে আছেন, তিনি ব্যাংকের মালিক। ব্যাংকের মালিক জনগণ। ব্যাংক এসোসিয়েশন এখানে বই দেয়, ওখানে কম্বল দেয়, অন্তত ১০০ ছবি দেয়। অর্থমন্ত্রীর ছবি ছাপা হয় না। টাকা কি উনার? এটা জনগণের টাকা। এই টাকা কেন অ্যালাউ করেন। টাকা যদি বেশি হয়ে থাকেন জনগণের খেদমতের জন্য দিয়ে দেন।“ 

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ী হলে যা হয়, তাই হয়েছে। আমি একজন এডভোকেট, এটা বললে কি অপরাধ হবে? উনি চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। কিন্তু উনার মূল পরিচয় একজন ব্যবসায়ী। এটাতে আহত হওয়ার কারণ নেই। আমরা আশা করেছিলাম, সাকসেসফুল বিজনেস ম্যান। অর্থনীতিতে ভালো করবেন। কতদূর ভালো করেছেন উনি চিন্তা করবেন।

“ব্যাংকের মালিক ডিরেক্টররা ঋণ নিয়ে বসে আছেন। এটা কী দেশ? টাকা পাচার হয়, উনি ব্যবস্থা নেন না। বিভিন্ন সংস্থার টাকা খরচ করছেন। আগামী বছর ট্যাক্স না পেলে কী করবেন? ২০১৭ সালে আমাকে বেস্ট লেবার মিনিস্টারের অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিল, কেন যে দিয়েছিল, তা আমি জানি না।”

জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “জনবিরোধী এ আইন পাস হলে সংসদের ইতিহাসে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটবে। ব্যাংক থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। দেখা যাবে সামনের বছর ১ লাখ কোটি টাকা নেবেন। এর কোনো শেষ নেই।”

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা শিপিং কর্পোরেশনরে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “এখন এর টাকা নিতে হলে শেয়ার হোল্ডারদের অনুমতি নিতে হবে। এটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান।”

আইনটি পাসের আগে তা নিয়ে সংসদে দীর্ঘ আলোচনার দাবি করেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।

তিনি বলেন, “স্বাধীন দেশে এ ধরণের আইন হতে পারে না। মেগা প্রজেক্‌ট বাদ দিলে কী হবে? কিছুই হবে না। একটা আইন সিস্টেমকে কলাপস করে দেবে।  একটা আইন অর্থনীতিতে কি লোটাস বা পদ্মফুল এনে দেবে? এতই ন্যক্কারজনক আইন যে সংশোধনযোগ্য নয়।”

আ হ ম মুস্তফা কামাল, ফাইল ছবি

বিরোধী সদস্যদের সমালোচনার জবাব দিতে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, “এত বক্তৃতা শুনতে ভালো লাগে নাই। আপনারা একসময় দায়িত্বে ছিলেন, কী কাজ করেছেন? পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে, জানা দরকার। বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত।

“আপনারা বলছেন, ব্যাংক, শেয়ারবাজার সব খালি করে ফেলেছি। আপনাদের সময় পুঁজিবাজার কী ছিল? আপনাদের সময় ইনডেক্স কী ছিল? এবার সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা।

মুজিবুল হক চুন্নুর উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, “একবার চিন্তা করে দেখেন। সাইফুর রহমান চ্যার্টার্ড একাউন্টেন্ট ছিলেন। আমিও তাই। আমি সারাবিশ্বের এক নম্বর অর্খমন্ত্রী। পারসোনাল লেভেলে কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। আমিও অনেক কিছু বলতে পারি। সবার বিষয়েই আমি জানি।”

দেশের অর্থনীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “একমাত্র রপ্তানি বাণিজ্য নেগেটিভ। এটা ছাড়া একটি খাতও নেই আমরা পিছিয়ে আছি। সবাই মনে করে বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, জেপি মর্গান সবাই মনে করে জিডিপি আট ভাগের  কম হবে না।”

রাজস্ব আয়ে ঘাটতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ভ্যাট আইন নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আংশিক ভ্যাট মেশিন এনেছে। বাস্তবায়ন শুরু করতে পারিনি। রাজস্ব আহরণ কম বলছেন। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৭ হাজার…  বছরের শেষে পুরোমাত্রায় আদায় হবে। নেগেটিভ থাকবে না। কারণ আমাদের সৎ ও শক্ত প্রধানমন্ত্রী আছেন।”   

বিলের বিরোধিতাকারী উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য এক। পিছিয়ে পড়ে থাকা মানুষকে মূল স্রোতে নিয়ে আসা। যত বড় ব্যবসায়ী তত বেশি ট্যাক্স দিচ্ছে। আইন সেভাবেই সাজানো। এ ধরনের আইন নতুন নয়। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন দশম সংসদে পাস হয়েছে। সেখানে এ ধরনের কথা বলা হয়েছে। একাদশ সংসদে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইনে একই ধরনের কথা বলা হয়েছে। সরকারের কোষাগারে অর্থ জমা না পড়লে শৃঙ্খলা আসবে না।

“টাকা পাচারের সংখ্যা কি বলতে পারছি? তাহলে জানি কিভাবে? আমি কি পার্টনার? তাহলে তো হয় অভিযোগ করতে হবে, না হলে আদালতে সাক্ষ্য দিতে হবে। এই মুহূর্তে কতজন ব্যাংকার, কর্মকর্তা জেলে আছে, জানা দরকার। যারা অন্যায় করেছে বিচারে নিয়ে যাব।”

২০১০ সালের পর থেকে পুঁজিবাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে দাবি করেই অর্থমন্ত্রী বলেন, “পুঁজিবাজার আরও ভালো করা উচিৎ। যে জায়গায় থাকা উচিৎ, সেখানে নেই।”

পাস হওয়া বিলে মোট ৬১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়েছে, যাদের উদ্বৃত্ত অর্থ এখন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আসবে।

সেগুলো হলো-জাতীয় কারিকুলাম এবং টেক্সটবুক বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ‘ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, দিনাজপুর উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড), পল্লী উন্নয়ন একাডেমী-বগুড়া, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষা ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক), জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সেরিকালচার বোর্ড, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি), বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ চা বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), চট্টগ্রাম ওয়াসা, ঢাকা ওয়াসা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড,  পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন।