রোববার বিকেলে শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) মন্ত্রীর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মুস্তফা কামাল জানান, প্রতিশ্রুত অর্থের মধ্যে বিশ্ব জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ) থেকে ১২০ কোটি ডলার এবং রোহিঙ্গাদের তিন প্রকল্পের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ৩৫ কোটি ডলারসহ মোট ১৫৫ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে।
আর বাকি ২৭০ কোটি ডলার জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দেবে। এই অর্থে ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “সাধারণত বিডিএফ সম্মেলনে দাতারা কোনও প্রতিশ্রুতি করেন না। কিন্তু এবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে দাতারা এই অতিরিক্ত অর্থ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”
এবারের সম্মেলনে দাতা সংস্থাগুলোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে গ্লোবাল ক্লাইমেট ফান্ডের (জিসিএফ) ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাভিয়ার মানজানারেস, বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার এবং জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা ছিলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, “বিশ্ব জলবায়ু তহবিল বা জিসিএফ থেকে অতীতে আমরা কোনও বরাদ্দ না পেলেও এবারের বিডিএফ সম্মেলনে সংস্থাটির উপ নির্বাহী পরিচালক জাভিয়ার মানজানারেস আগামী ৪ বছরের জন্য ১২০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
“বিডিএফ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর চা বিরতির সময় জাভিয়ার মানজানারেস সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার আগে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেও একই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন।”
বিশ্ব ব্যাংকের ৩৫ কোটি ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তিনটি প্রকল্প চলছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের ‘হেল্থ অ্যান্ড জেন্ডার সাপোর্ট প্রজেক্টের জন্য ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবে।
এছাড়া ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী’ প্রকল্পে দেবে ১০ কোটি ডলার। আর ‘ইমার্জেন্সি মাল্টি সেক্টরাল রোহিঙ্গা রেসপন্স’ প্রকল্পের জন্য দেবে সাড়ে ১২ কোটি ডলার।