শনিবার বিকেলে উপজেলা খেলার মাঠে এই মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ, বিপিএলের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপারসন নাফিসা কামাল উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় দেশবরেণ্য শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
এই মেলা আয়োজন নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না, আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না। এটি অত্যন্ত শাশ্বত সত্য, এই শাশ্বত সত্যটিকে মানুষের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধু আগামী প্রজন্মের অনুকরণীয় আদর্শ। এ আদর্শকে তাদের কাছে রেখে যেতে চাই।”
তিনি বলেন, “জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এ বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। জাতির পিতার আদর্শকে আবার নতুন করে এলাকার মানুষের সামনে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেছেন, তার নির্দেশে যুদ্ধ করেছেন, তাদের জন্য এক ধরনের অনু্প্রেরনার চিত্র তুলে ধরা।
“আবার অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে আহত হয়ে এখনও আমাদের মাঝে আছেন তাদেরকেও একত্র করা আমাদের উদ্দেশ্য।”
মুস্তাফা কামাল বলেন, “যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু এক রকম। এখনকার আমাদের যে তরুণ সমাজ, তারা বঙ্গবন্ধুকে দেখে নাই। এমনকি মুক্তিযুদ্ধও করার সুযোগ পায় নাই, তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে এলাকার সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে ওয়ান টু ওয়ান গিয়েছি। তাদেরকে এই আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছি এবং সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। এটিই আমাদের সফলতা।”
মন্ত্রী বলেন, “মানুষকে সম্পৃক্ত করে, তাদের সামনে একটি আদর্শকে উপস্থাপন করা, আদর্শটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এই জাতীয় চেতনায় যারা বিশ্বাস করে না, তাদেরকে বিশ্বাসী করার জন্য এবং এই আদর্শকে আগামী প্রজন্মের কাছে, আমাদের তরুণ সমাজসহ আগামী প্রজন্মের কাছে, যারা এই পৃথিবীতে আসে নাই, তাদের কাছেও আমরা রেখে যেতে চাই। আজকের এই দিনটি হবে একটি সেতুবন্ধন। আমাদের আজ এবং আগামীর মাঝে সেতুবন্ধনটি সফল হোক আপনারা দোয়া করবেন।”
অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষ ভিক্টোরিয়ানস ক্রিকেট টি-২০ টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন করা হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে।