সমন্বিত ও সামগ্রিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার কাকরাইলের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘এসডিজি অগ্রগতি পর্যালোচনা-২০২০’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
এসডিজি অর্জনের প্রচেষ্টায় এমডিজির অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কাজে লাগানো হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “এসডিজি একটি বহুমাত্রিক পরিকল্পনা। এতে মানব উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশগত উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত।
“এসডিজির সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে মূলত জনগণের উপর। তাই এসডিজির স্থানীয়করণ বা লোকালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ।”
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কথা তুলে ধরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক- এ তিনটি সূচকের যে কোনো দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকের মানদণ্ডেই উন্নীত হয়েছে।
“এটি সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও বৃদ্ধির জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-প্রধান আবু মুহাম্মদ মইনুদ্দীন কাদেরী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সুশঙ্কর চন্দ্র আচার্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।