আগের বছরের ডিসেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
তবে গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির এ হার তার আগের মাস নভেম্বরের তুলনায় কিছুটা কম। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মঙ্গলবার একনেক সভার পর বিবিএস‘র হালনাগাদ প্রতিবেদন সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, “দেশে এখন শীতের সবজি ও মাছের দাম কিছুটা কমতির দিতে থাকায় মূল্যস্ফীতি নভেম্বরের তুলনায় কমেছে। এছাড়া নতুন মৌসুমের ফসল উঠায় বাজারে চালের দামও কিছুটা কমতির দিকে থাকায় সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমেছে।”
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ; আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসেম্বর মাসে গ্রামীণ এলাকায় সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।
অন্যদিকে গত ডিসেম্বরে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এ হার ছিল ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।