বিদ্যুৎ সঞ্চালন গতিশীল করতে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি

সারাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন গতিশীল করতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির প্রকল্পের ব্যয় ৬২৩ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখানে চীনের অর্থায়ন কমে বেড়েছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2019, 02:22 PM
Updated : 31 Dec 2019, 02:22 PM

মঙ্গলবার একনেক সভায় ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট’র ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ায় এই প্রকল্পের এখন দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সংশোধিত প্রকল্পটিঅনুমোদন পায়।

প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ ৩ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন মাসে ধরে নতুন লক্ষ্যমাত্রাও ঠিক করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প শক্তি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় যে ২৭টি প্রকল্পে ঋণ চুক্তি হয়েছিল তার একটি এই প্রকল্প। তখন প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা।

এরমধ্যে ঋণ সহায়তা হিসেবে ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ২৬৬ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার কথা ছিল। বাকি ৩ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে দেওয়ার কথা ছিল।

“কিন্তু চুক্তির আগে চীনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করলে শেষ পর্যন্ত সরকারি অর্থায়ন বাড়িয়ে প্রায় ৫ হাজার ৯২১ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। আর বাস্তবায়নকারী সংস্থা পিজিসিবি দেবে প্রায় ৩৭৮ কোটি টাকা।

আর প্রকল্প ঋণ প্রায় এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা কমিয়ে প্রায় ৮ হাজার ২৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।”

সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “এবারের সংশোধনীতে প্রকল্প সহায়তা প্রায় এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা কমিয়ে ৮ হাজার ২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।”

এই প্রকল্পের জন্য চীন থেকে প্রায় ৯ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা সহায়তা নেওয়ার কথা ছিল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন শিগগির চীনের সঙ্গে এ প্রকল্পটির অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে।

মঙ্গলবারের বৈঠকে এ প্রকল্পটিসহ ৪ হাজার ৪৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ের সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নতুন প্রকল্প,  চারটি সংশোধিত প্রকল্প।

এসব প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন ৪ হাজার ৩৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা আর সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

অন্য প্রকল্পগুলো

>> `সীমান্ত সড়ক নির্মাণ : ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা অংশ (প্রথম সংশোধন)’প্রকল্প। এতে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ১০২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর ফলে ৪৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি ৫৫৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

>> `মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প। এতে ব্যয় ৮১৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

>> ‘রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণার্থে নর্দমা নির্মাণ, তৃতীয় পর্যায় (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প। এতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

>> ‘মংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ’ প্রকল্প। এর ব্যয় ৭৬৭ কোটি টাকা।

>>  ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ’ প্রকল্প। এর ব্যয় ২২০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

>> ‘সিলেট, লালমনিরহাট ও বরিশাল ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি স্থাপন’ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।