তিনি বলেছেন, সরকার সব বৈদেশিক ঋণ বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ থেকে বের হয়ে আসতে চায়।
সোমবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে ‘ক্ষুদ্র ঋণদাতাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমরা যখন বিশ্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নিই, তখন দেশের সাধারণ মানুষ মনে করে আমরা কিছুই না, বিশ্ব ব্যাংকই পৃথিবীর মালিক; অথচ তা সত্য নয়।”
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৈষম্যও যে বাড়ছে, তা স্বীকার করে নেন মান্নান।
“দেশে বৈষম্য বাড়ছে ঠিক, কিন্তু নিচের মানুষগুলোর কষ্ট কমছে। উপরের সারির মানুষগুলোর আয় আরও বেড়েছে। তাই বৈষম্য বাড়ছে।”
ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে ‘ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অব ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন থ্রু মাইক্রো ফিন্যান্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ড. মাহফুজ কবির।
২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৭ বছরের ক্ষুদ্র ঋণের প্রভাব ও ঋণ গ্রহীদতাদের ওপর প্রভাব নিয়ে এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
মাহফুজ বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে দরিদ্র মানুষের মধ্যে যারা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করেছেন, তাদের সঞ্চয় ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ না করা ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি।
“আবার যারা দীর্ঘ সময় ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েছেন, তাদের কুঁড়ে ঘরের সংখ্যা কম। আর যারা ক্ষুদ্র ঋণ নেননি, তাদের কুঁড়ে ঘরের সংখ্যা বেশি। একইভাবে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের জমি কেনাসহ অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগ, যারা ঋণ নেননি, তাদের চেয়ে ভালো।”
সভায় পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, উন্নয়ন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। কোনো প্রতিষ্ঠান দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারে না।
কৃষকের ফসলের দাম না পাওয়ায় যখন ফসলের দাম থাকবে না, তখন তাদের জন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে অর্থের সংস্থানের সুপারিশ করেন তিনি।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালক এস কে সুর চৌধুরী অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির জন্য ডিজিটাল লেনদেনের জন্য সাধারণ মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তোলার উপর জোর দেন।