এলাকা ও পদ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন তারা। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে এই সুযোগ পাবেন তারা।
উদ্যোগ নেওয়ার এক বছর পর বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা জারি করেছে অর্থমন্ত্রালয়।
‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক/কর্মচারীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ নীতিমালা ২০১৯’ শীর্ষক নীতিমালায় বলা হয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হবে। এই ঋণের জন্য ব্যাংক ৯ শতাংশ হারে সরল সুদ অর্থাৎ, চক্রবৃদ্ধি সুদ (সুদের ওপর সুদ) নিলেও ঋণ গ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। অর্থাৎ সরল এই সুদের ওপর কোনো সুদ আদায় করা যাবে না।
সুদের বাকি অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসাবে ব্যাংককে পরিশোধ করবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর, সিটি করপোরেশন বা বিভাগীয় সদর এলাকার পঞ্চম গ্রেড ও তার ওপরের গ্রেডের শিক্ষক ও কর্মচারীরা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। অনুরূপভাবে জেলা সদর হলে ২৫ লাখ টাকা ও অন্যান্য এলাকা হলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন তারা।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর অর্থমন্ত্রণালয় সরকারি চাকরীজীবিদের মত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও গৃহ নির্মাণে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সে সময় অর্থ বিভাগ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবকে এক চিঠিতে বলেছিল, নীতিমালা প্রস্তুতের পর এই ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ৫ শতাংশ সরল সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণের আওতায় আনার জন্য সরকার ইতোমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে একটি পৃথক নীতিমালা প্রস্তুতের কাজ বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
“এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রস্তুতের পর সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ৫ শতাংশ সরল সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।”
সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই ঋণের আওতায় ছিলেন না।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও এ ঋণের আওতায় আনতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল।