মঙ্গলবার একনেক সভা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেলে প্রিপেইড মিটার লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাধারণ মানুষ প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করছে। এ অবস্থায় এসব ভবনেও প্রিপেইড মিটার বসাতে হবে।”
একনেক বৈঠকে এদিন ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেলের আনুসঙ্গিক স্থাপনার নির্মাণ ও আধুনিকায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা আসে বলে জানান মান্নান।
সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সমন্বয়কারী সংস্থা পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে অন্তত ৩৩ লাখ প্রিপেইড মিটার বিতরণ করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের আড়াই কোটি গ্রাহকের মধ্যে অন্তত দেড় কোটি গ্রাহকের কাছে প্রিপেইড মিটার পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “অফিস-আদালত ও বাসভবনসহ সর্বত্র প্রি-পেইড মিটার লাগানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দিস ইজ দ্য অর্ডার। আমরা মনে করি, এটি দরকার। জনগণের যদি প্রি-পেইড মিটারে বিল দেওয়ার সক্ষমতা থাকে, তাহলে সংসদ ভবন কেন দেবে না।”
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আইসিটি ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজনভিত্তিকে ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।