মূল্যস্ফীতিতেও পেঁয়াজের ঝাঁঝ

নিত্যপণ্য পেঁয়াজের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিও বাড়িয়ে তুলেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2019, 04:26 PM
Updated : 10 Dec 2019, 04:26 PM

গত নভেম্বর মাসে দেশে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ; আগের বছরের নভেম্বর মাসে তা ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে নভেম্বরে প্রধান ভূমিকা রেখেছে খাদ্য খাত। নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত বছরের একই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।

মঙ্গলবার একনেক সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।

মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে পেঁয়াজ।”

গত সেপ্টেম্বরের শেষে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। দুই মাসের মধ্যে এই নিত্যপণ্যের দর ৩০ টাকা থেকে আড়াইশ টাকায় উঠে যায়।

নভেম্বরে বাড়লেও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশাবাদী পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান।

“দেশের সকল স্থানে শীতকালীন সবজি ও নতুন পেঁয়াজ এবং ফলমূল বাজারে এসে গেছে। চলতি মাসে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আমি মনে করি।”

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।

নভেম্বরে শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বরে এ হার ছিল ৬ দশমিক ২১ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে বেঁধে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে তা বেড়েই চলেছে।