শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণে ব্যয় বাড়ল

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পের ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা বেড়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2019, 01:22 PM
Updated : 10 Dec 2019, 01:22 PM

এখন প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় এর ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে ‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)’র ব্যয় বাড়িয়ে সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।

শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটির নকশা পরিবর্তন করে এর আওতা ও পরিধি বাড়ানোর কারণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে আগে ভিভিআইপি ভবন আলাদা ছিল। এখন নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী ভিভিআইপি ভবনকে মূল ভবনের সঙ্গে একীভূত করে অন্যান্য সেবার সমন্বয় করে ভবন তৈরি করা হবে।

“প্রকল্পের কাজ পরিধি বৃদ্ধি পাওয়া, ভবন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, সেবা ও পণ্যে মূল্য বাড়ায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।”

এছাড়া নতুন প্রস্তাবে আমদানি ও রপ্তানি ভবন আলাদাভাবে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগে ছিল না।

মন্ত্রী বলেন, “এ প্রকল্পটির জন্য জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (জাইকা) প্রকল্প সহায়তাও বাড়ানো হয়েছে। সংস্থাটি এ প্রকল্পের জন্য এখন মোট ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকার ঋণ দেবে। এর আগে জাইকা এ প্রকল্পে ১১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল।”

একইভাবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকেও জোগান বাড়িয়ে ৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। এর আগে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার কথা ছিল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এদিনের বৈঠকে প্রকল্প  সশোধনী ও নতুনসহ মোট ৭টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এসব প্রকল্পে ৯ হাজার ২৪১ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, আর প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি টাকার সংস্থান হবে। 

অন্য প্রকল্পগুলো

>> ‘পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)” প্রকল্প। এতে ব্যয় বেড়েছে ১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

>> ‘কক্সবাজার জেলার রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৯ এবং ১১৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। এর ব্যয় ২৬৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

>> ‘ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের হাসাড়া পর্যন্ত জেলা মহাসড়ক (জেড-৮২০৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। এর ব্যয় ৪০৯ কোটি টাকা।

>> ‘ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়ক (এন-৭০৪) এর কুষ্টিয়া শহরাংশ ৪-লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। এর ব্যয় ৫৭৪ কোটি টাকা।

>> ‘নাগেশ্বরী-কাশিপুর-ফুলবাড়ী-কুলাঘাট-লালমনিরহাট জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প। এর ব্যয় ৯৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

>> ‘ঢাকা, মাদারীপুর ও রংপুর জেলার ৩টি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।