বুধবার সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে দেওয়া প্রস্তাবটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন।
এখন দেশে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার আরো বাড়বে; কৃষদের উৎপাদন খরচও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।
“ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন (অ্যামোনিয়া ফর্মে) এবং টিএসপি সারের সমপরিমাণ ফসফেট রয়েছে। এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া এবং টিএসপি সারের সুফল পাওয়া যায়।”
প্রতিবছর সারের জন্য সরকারকে সর্বমোট ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় বলে তিনি জানান।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০০৯ সালের আগে ডিএপি সারের দাম ছিল কেজিতে ৯০ টাকা, যা ধাপে ধাপে কমিয়ে ২০১৪ সালে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।