বুধবার সচিবালয়ে কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান, বাজার যাচাই করে নতুন কোনো কোম্পানির সঙ্গে আলোচনার পর সুরক্ষা সেবা বিভাগকে নতুন করে প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।
কিন্তু এ কোম্পানির প্রস্তাবিত দর আগেরবারের খরচের চেয়ে ৬৭ শতাংশ বেশি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।“
সময়মত পাসপোর্ট না পোলে সঙ্কট তৈরি হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তাদেরকে (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) আমরা অ্যাডভাইস দিয়েছি, যেহেতু সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এগুলো কেনা হবে, এক্ষেত্রে টেন্ডার প্রয়োজন হবে না, সেহেতু অন্য যারা এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে যদি দামটা কমাতে পারে, একই সঙ্গে সরবরাহ করার সময়টা কমাতে পারে, তাহলে কেনো নয়?”
মুস্তফা কামাল বলেন, পৃথিবীতে বহু কোম্পানি এ ধরনের কাজ করে। ফলে নতুন একটি কোম্পানি খুঁজে বের করা খুবই সম্ভব।
“এক-আধটু সমস্যা হলেও এটি আমাদের করতে হবে, কারণ ৬৭ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি অনেক বেশি। এতটা মূল্য বৃদ্ধি হলে আমাদের কমিটির পক্ষেও এটা অনুমোদন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সুরক্ষা সেবা বিভাগকে আরও চার-পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে দর কাষাকষি করে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ দর নির্ধারণ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
“আগামী ডিসেম্বর থেকে পাইলট বেসিসে ই-পাসপোর্টে যাচ্ছি। তবে ই-পাসপোর্টে আমরা এখনই লার্জ স্কেলে যেতে পারছি না। তাই আরও এমআরপি পাসপোর্ট আমাদের প্রয়োজন।”