মঙ্গলবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এই তথ্য জানানো হয়। তবে কয়েকটি শর্তপূরণ সাপেক্ষ বিজেএমসিকে ঋণ হিসাবে পাওয়া এই টাকা খরচ করতে হবে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন মিলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের অগাস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বকেয়া মজুরি ও বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ বিভাগের ‘অপ্রত্যাশিত ব্যয়’ খাত থেকে এ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হল- চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) বিজেএমসি’র মিলগুলোর জন্য বর্ণিত খাত ছাড়া অন্য কোনো খাতে এই টাকা ব্যয় করা যাবে না। এছাড়া ছাড়কৃত অর্থ সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ের সাত দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক কর্মচারী ও শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত ব্যয় বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে।
বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
এই অর্থ বিজেএমসির অনুকূলে ‘সরকারি ঋণ’ হিসেবে গণ্য হবে, যা আগামী ২০ বছরে (পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ) পাঁচ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে বিজেএমসিকে।