শুক্রবার কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী বন্দর এলাকা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চিলমারী নদী বন্দর একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার অনুমোদন হয়ে গেলেই এখানে কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।”
চিলমারী নদী বন্দরে মালামাল ওঠানামার জন্য ও যাত্রী ওঠানামার জন্য আলাদা জেটি স্থাপন করা হবে হবে বলে তিনি জানান।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিলমারী বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় পণ্য পরিবহণে প্রটোকল চুক্তি হয়েছে, ভুটানের সঙ্গে প্রটোকল চুক্তির আলোচনা চলছে। চিলমারী নদী বন্দরে একটি কাস্টমস অফিস স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী এনবিআরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
“এই রুটটি একটি আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে চালু হবে। আমরা আশা করছি, এই রুটটি চালু হয়ে গেলে এই এলাকার অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।”
২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চিলমারী সফরে এসে চিলমারীকে নৌ বন্দর হিসেবে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিশা হারিয়ে গুজবের রাজনীতিতে বিএনপি
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ বলেন, “বিএনপি এখন গুজবনির্ভর রাজনীতি করছে। এই পরিবারে যারা রাজনীতি করছে, তারা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চায়। রাজনীতির পথ হারিয়ে তারা কখনো পেঁয়াজ, কখনো লবণ এবং কখনো পরিবহন নিয়ে গুজবের রাজনীতি করছে।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভোলানাথ দে, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান এসময় সেখানে ছিলেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার সকাল ৯টায় হেলিকপ্টারযোগে চিলমারী থানাহাট হ্যালিপ্যাডে নামেন। এরপর তিনি টেরেডেস হোমস ফাউন্ডেশনে জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি চিলমারী নদীবন্দর পরিদর্শনে যান।