সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “দেশের যেসব এলাকায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আছে তাদের পণ্য অনলাইনে বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমরা সবার কাছে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেব। এমনকি দুর্গম এলাকা হলেও তাদের কাছে ইন্টারনেট চলে যাবে।”
“আমি চাই আমাদের রাজশাহীর আম বিক্রি হবে যুক্তরাষ্ট্রে আর দিনাজপুরের লিচু বিক্রি হবে বেইজিংয়ে। উদ্যোক্তাদের কাছে উচ্চগতির ইন্টারন্টে পৌঁছে দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিলে এটা সম্ভব।”
পলক বলেন, ইতিমধ্যেই তিন হাজার ৮০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে দেশের আট হাজার ডাক বিভাগে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে।
তিনি দুবাইয়ে ‘এয়ার শো’ র প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “সেখানে আমাদের বিমানও অংশ নিয়েছে। এটা গৌরবের ইতিহাস। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানে আমরা হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করি না।
“প্রধানমন্ত্রী চান, প্রত্যেকটি সংস্থা যেন তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে পরিচালিত হয়। যদিও ব্যাংকগুলো নিয়ে আমরা শঙ্কিত আছি। তারপরও চাই ব্যাংক, বীমাগুলো যেন তাদের নিজস্ব বোর্ড, নিজস্ব চেয়ার, নিজস্ব বিধি-বিধান অনুযায়ী চলুক। সকাল-বিকাল হস্তক্ষেপ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।”
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, আমাদের সরকারের উন্নয়ন গ্রাম থেকে শহরের দিকে আনা শুরু করেছি। তার মানে আমরা গ্রামকে প্রাধান্য দিয়েই উন্নয়ন করতে চাই।”
এই নীতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈষম্য কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।