আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অফিসার্স ক্লাবে সপ্তাহব্যাপী এই মেলা হবে।
‘জাতীয় আয়কর মেলা ২০১৯’ উপলক্ষে মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আয়কর দেওয়ার সুবিধা।
“মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নগদ, বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ ও শিওরক্যাশের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সীমার কথা মাথায় রেখে অনধিক ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করা যাবে।
“অর্থাৎ যারা ৫০ হাজার টাকার কম আয়কর পরিশোধ করবেন, তারাই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুযোগ নিতে পারবেন।”
পাশাপাশি মেলায় আগের মতো সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের বুথও থাকবে, যেখানে করের চালান জমা দেওয়া যাবে।
এছাড়াও মেলায় কর অঞ্চলভিত্তিক আলাদা বুথের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্যও আলাদা বুথ থাকবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
সংবাদ সম্মেলনে আয়কর অণুবিভাগের সদস্য কালিপদ হালদার, মেফতাউদ্দিন, আলমগীর হোসেন, কানন কুমার রায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বহস্পতিবার বেলা ১টায় অফিসার্স ক্লাবে এই আয়কর মেলার উদ্বোধন করবেন। তবে সকাল ৯টা থেকেই মেলায় আয়কর গ্রহণ শুরু হবে।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এবার আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৩০ লাখে উন্নীত হবে বলে তারা আশা করছেন।
“এছাড়া আয়কর মেলা থেকে এবার তিন হাজার কোটি টাকা আদায়ের মাইলফলক অর্জনের আশা করছি। গতবারের আয়কর মেলা থেকে আমরা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আয়কর আদায় করেছিলাম।”
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, মেলার পরও আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে।
“ওই সময়ও যেন উৎসবমুখর পরিবেশে সার্কেল অফিসে রিটার্ন জমা দিতে পারেন, সেজন্য কমিশনারদের শক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
আয়কর রিটার্ন জমা নেওয়ার সময় যে কোনো ধরনের হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আয়কর মেলার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট (www.aykormela.gov.bd) করা হয়েছে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে করদাতারা কোথায় কখন মেলা হবে, সেটি জানতে পারবেন।