এক গবেষণায় সানেম দেখিয়েছে, পারিবারিক নানা বাঁধায় নারীরা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত হতে পারছেন না। কিন্তু পরিবারের মধ্যে তারা টাকা ছাড়াই যেসব কাজ করেন সেগুলোর আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করলে জিডিপিতে অনেক বেশি অবদান প্রতিফলিত হবে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, জিডিপিতে যদি হিসাব করা হতো তাহলে অর্থছাড়া যারা কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী মিলে অবদান দাঁড়াতো ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর মধ্যে আবার অর্থছাড়া গৃহ কর্মে নিয়োজিত নারীর অবদান হচ্ছে ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পুরুষের অবদান ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
সোমবার রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, যদিও ঘরের বাইরে নারীর অর্থকরী কর্মকান্ডের মূল্যায়ন হচ্ছে, কিন্তু নারীর গৃহকর্মের অর্থনৈতিক আঙ্গিক এখনো স্বীকৃত নয়। ঘরের কাজ ছাড়াও নারীর গৃহস্থালী কাজের আর্থিক মূল্য রয়েছে। তা সত্বেও জিডিপিতে নারীর বাজারভিত্তিক কর্মকান্ড ছাড়া অন্য কাজগুলোর আর্থিক মূল্য অন্তর্ভূক্ত করা হয় না।
গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নীতি-নির্ধারকদের বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
আতিউর রহমান বলেন,সানেমের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, জিডিপিতে অর্থছাড়া গৃহ কাজের অবদান ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এটি জিডিপির হিসাবের মধ্যে থাকে না। তবে এই ধরনের হিসাব নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখবে।
সেলিম রায়হান বলেন,নারীরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অধিকাংশ সময়ই পরিবারে কাজ করে থাকে। কিন্তু সেটি হিসাবে আসছে না। ফলে পুরুষরা বলেন নারীরা কিছুই করে না। সরকারি হিসাবে দেশের শ্রমশক্তিতে নারীদের অবদান ৩৬ শতাংশ। এটি দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পোশাক খাতের বাইরেও যে নারীরা বিভিন্ন খাতে কাজ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হয় না।